আউটসোর্সিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং কি ?


বর্তমান সময়ে তরুনদের কাছে সবচাইতে আলোচিত একটি শব্দ টি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) । ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অন্যভাবে বলা যায়, নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এ ধরণের পেশাজীবিকে বলা হয় ফ্রীলেন্সার (Freelacer) বা স্বাধীনপেশাজীবি। চাকরীজীবিদের মতো এরা বেতনভুক্ত নয়। কাজ ও চুক্তির উপর নির্ভরকরে আয়ের পরিমাণ কম বা অনেক বেশি হতে পারে, তবে স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছা মতো ইনকামের সুযোগ ও আছে, । এজন্য স্বাধীনমনা লোকদের আয়ের জন্য এটা একটা সুবিধাজনক পন্থা। আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মুক্তপেশার কাজগুলো ইন্টারনেট মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে মুক্ত পেশাজীবীরা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন।
আউটসোর্সিং কি :একটু ভাবুন তো আপনার একটি কোম্পানি আছে আপনি কিছু পোস্টার তৈরী করা প্রয়োজন এখন আপনি কি করবেন ? নিশ্চই কোন প্রিন্টিং কোম্পানি অথবা যারা এধরনের কাজ করবেন তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এখন একটা প্রশ্ন আপনি কেন নিজে কেন করছেন না ? উত্তর টি হচ্ছে আপনি এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কিন্তু যদি আপনি কাজটি করতে যেতেন তাহলে কি কি জিনিস আপনার দরকার হত।
১. আপনার একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার দরকার হত।
২. একটা ছাপাখানা দরকার হত।
৩. আপনার কাটিং মেশিন দরকার হত।
মোটামোটি এগুলো হলে আপনার পোস্টার টি আপনি তৈরী করতে পারেন। আপনার ২০০০ পোস্টার করার জন্য কত কিছুই না দরকার হত। কিন্তু আপনি যদি অন্য কোন কোম্পানি যারা এই ধরনের কাজটি করে তাদের কে দেন তারা আপনার কাজটি করে দেবে খুব সহজে এটা ও এক ধরনের আউটসোর্সিং। একটি কোম্পানির কাজ অন্য কোন কোম্পানি কে দিয়ে করিয়ে নেয়া। আরো সহজ ভাবে যদি বলতে যাই তাহলে অন্য কোন দেশের অন্য কারো কাজ বাড়িতে বসে ইন্টারনেট এর মাধমে করাই হচ্ছে আউটসোর্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং :
মূলত ফ্রিল্যান্সিং অর্থ হলো মুক্তপেশা। অর্থাৎ স্বাধীন ভাবে বা মুক্ত ভাবে যে পেশা থেকে টাকা বা অর্থ আয় করা যায় তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। আর এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ হতে পারে online এ বা offline এ। তবে মূল কথা হলো প্রচলিত চাকরির মতো কোনো ধরা – বাঁধা নিয়ম নীতি মেনে অন্যের অধিনে না থেকে নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে বসে মুক্ত ও স্বাধীন ভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এবং online freelancing work এর ক্ষেত্রে মূলত ইন্টারনেট, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলেই হয়।বিশ্বের এক প্রান্তের কাজ অন্য প্রান্তে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ঘরে বসে বা যেকোনো স্থানে বসে স্বাধীন ভাবে সম্পন্ন করা ই  হলো অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সার :
যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তিরা প্রফেশনাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে থাকে, তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সিং মূলত এক ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতা ভিত্তিক smart জীবীকা, তাই যারা Freelancer তারা দক্ষতা সম্পন্ন জ্ঞানী ও smart হয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং আয় সম্পর্কে :
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেক মানুষই আয় করছে বিশ্বে। দক্ষ ও মেধাবী যে সকল ব্যক্তিরা ফ্রিল্যান্সিং করে, তাদের আয়ের পরিমানটাও অনেক। এবং বর্তমানে বিশ্বে অসংখ্য সফল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যাদের প্রতি মাসে আয় লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা।

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভুল ধারণা :
মানুষের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। যেমন অনেকেই মনে করে অনলাইনে টিপ দিলেই টাকা আয় হয়, আর সেটাই ফ্রিল্যান্সিং। কিন্তু বাস্তবে এ ধারনাটা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে ফ্রিল্যান্সারদের নির্দিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান সম্পন্ন ও দক্ষ হতে হয়। তাই যারা নির্দিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট এক্সপার্ট ও দক্ষতার সাথে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে থাকে, তারাই কেবল অনেক earn করতে পারে। তাছাড়া এই ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে কোনো বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতা ছাড়া online এ earn করা সম্ভব নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *