শিবালয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা না পেয়ে ছাত্রলীগের তাণ্ডব |

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সড়ক উন্নয়ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে স্থানীয় প্রভাবশালী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী ২৫ জনের একটি দল ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত অন্তত ২৫ লক্ষ টাকার দুইটি ভেকু ভাঙচুর করে। এ ছাড়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এনডিই কম্পানির ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও স্টোর ম্যানেজারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করে তাদের কাছে কম্পানির ২ লাখ ২২ হাজার টাকা লুটে নেয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় সাব-কম্পানি এমএম এন্ট্রারপ্রাইজ প্রোপাইটার মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার রাতে শিবালয় থানায় ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-পাটুরিয়া সড়ক ফোর লাইন কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিই। এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বালু ভরাটের সাব-কন্ট্রাক নিয়ে এমএম এন্টারপ্রাইজ কাজ করে আসছে। ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে বেশ কিছু দিন ধরে ছাত্রলীগের ও যুবলীগের সাবেক বেশ কয়েক জন নেতা তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে চলতি মাসের ১২ তারিখে রাত ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের ট্রাক টার্মিনাল এনডিই কম্পানির ম্যানাজার আইনাল হক, এমএম এন্টারপ্রাইজের ম্যানাজার আলমগীর হোসেন, কম্পানির কর্মরত রাজিব, ভেকু ড্রইভার মতিনসহ বেশ কয়েজনের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে চারপাশ ঘেরাও করে। এ সময় মো. নাঈম, মতিন, আনিছুর রহমান, আরিফ, ইকবাল, ইসমাঈলসহ অন্তত ২০-২২ জনের একটি দল তাদের মারধর করে দুইটি ভেকু ভাঙচুর করে। এবং তাদের কাছে নগদ টাকাসহ মালামল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। 

মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে বেশ কিছু দিন ধরে এ চক্রটি ২০ লাখটা চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ওই চক্রটি আমাকেসহ কম্পানির অন্য লোকদের মারধর করে দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে সবার সাথে আলোচনা করে গত ১৪ এপ্রিল রাতে থানায় মামলা করি। বিষয়টি নিয়ে আমি চরম ভয়ের মধ্যে রয়েছি।

শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবীর কে বলেন, এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম নামের একজন থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় একটি মামলা দাযের করেন। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *