সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে টেনে তোলা হয় শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি। ছবি: সংগৃহীত।
নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে কোস্টার ট্যাংকারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় আরো ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এ নিয়ে উদ্ধার মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ টিতে।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) সকালে কয়লাঘাট এলাকা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল পর্যন্ত ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এরই মধ্যে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়ার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে পানির নিচ থেকে টেনে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকের শীতলক্ষ্যার চর সৈয়দপুর এলাকার ব্রিজের কাছে এই লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। সাবিত আল হাসান নামের ডুবে যাওয়া লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিল। লঞ্চটিতে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল বলে জানান জীবিত উদ্ধার কয়েকজন যাত্রী।
Source: kalerkantho