মিতা হকের মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতার শোক |

বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি।

আজ রবিবার (১১ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘মিতা হকের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হলো। তবে দেশের মানুষ তাঁকে আজীবন মনে রাখবে এবং আগামী প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ শিল্পীদের কাছে তিনি এক অনুকরণীয় প্রেরণা হয়ে থাকবে বেঁচে থাকবেন।’

রওশন এরশাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত গুণী শিল্পী মিতা হক সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবাদানের জন্য একুশে পদক ও শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন।’

বিরোধীদলীয় নেতা মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আজ রবিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন মিতা হক।

শিল্পী মিতা হক ১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে তাঁর চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলা বাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সংগীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা করেছেন।

২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন মিতা হক। এরপর কবি রবীন্দ্রনাথের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁকে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়। একই বছর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা’য় রবীন্দ্রসংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মিতা হককে সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে।  


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *