বিধি-নিষেধের মধ্যে মার্কেট ও দোকান খোলা রাখার দাবিতে গতকাল রাজধানীর নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করেন। ছবি :
দেশজুড়ে বলবৎ বিশেষ নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিনে গতকালও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দোকানপাট-বিপণিবিতান খোলা রাখার সুযোগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। আর রাজশাহীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গতকাল মঙ্গলবার দোকান খোলেন আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। মার্কেটটিতে প্রায় দুই হাজার ২০০টি দোকান রয়েছে।
বিক্ষোভরত দোকান মালিক-কর্মচারী, ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে পহেলা বৈশাখ। এরপর ঈদ। এ সময় দোকান বন্ধ রাখলে তাঁদের ব্যবসায় ধস নামবে। গত বছর কয়েক মাস বন্ধ রাখার ক্ষতি তাঁরা এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেননি।
গতকাল ঢাকার বাইরে সিলেট, বরিশাল, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, গাইবান্ধা, যশোরের কেশবপুর, সাতক্ষীরা এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। আর ঢাকায় নিউ মার্কেট ও ঢাকা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভের এক পর্যায়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, নিষেধাজ্ঞার সময় অন্তত চার ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁরা দোকান খোলা রাখবেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় সুলেমান শেখ নামের এক বিক্ষোভকারী কে বলেন, ‘গত বছরের লকডাউনের ক্ষতি এখনো পুষিয়ে ওঠা যায়নি। এবার ঈদ সামনে রেখে নতুন মাল উঠিয়েছি দোকানে। এখন বন্ধ থাকলে আমাদের ব্যবসায় ধস নামবে। কর্মচারীদের বেতন-বোনাসও দিতে পারব না।’
গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী নাছিমা বেগম বলেন, এক বছর ধরে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন রমাজানকে ঘিরে। এখন রমজানেই যদি তাঁদের দোকান বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। গত বছরের করেনার ক্ষতিই এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেননি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন কে বলেন, ‘কলকারখানা খোলা রেখে ক্ষুদ্র ব্যবসা, দোকান বন্ধ রাখা একটি একচোখা সিদ্ধান্ত। এ ছাড়া দোকানভাড়া, অর্ডার করা পোশাক সরবরাহ করা না গেলে এবার আমাদের পথে বসতে হবে। রমজানকে ঘিরেই আমাদের ব্যবসার মূল মাস হিসেবে ধরে নিয়ে কাজ করি।’
রাজশাহীতে দোকান খুললেন ব্যবসায়ীরা
এদিকে রাজশাহীতে লকডাউন ভেঙে গতকাল দোকান খোলেন আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। আগের দিন সোমবার দেশের অন্যান্য স্থানের মতো দোকান মালিক ও কর্মচারীদের মতো তাঁরাও রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। সে সময় তাঁরা লকডাউন মানবেন না বলে ঘোষণা দেন। এ ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সকাল ১০টার পর থেকে একে একে দোকানপাট খুলতে শুরু করেন তাঁরা। পরে মার্কেটটিতে ক্রেতার অল্প পরিমাণ ভিড়ও দেখা গেছে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ’র নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা।]
Source: kalerkantho