শেষ সময়ের গোলে বুরুশিয়াকে হারাল ম্যানসিটি |

ঘরের মাঠে অনেকটা সময় এগিয়ে থেকেও জয় হাতছাড়া হতে বসেছিল ম্যানচেস্টার সিটির। শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দিলেন ফিল ফোডেন। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে ওঠার পথে কিছুটা এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল।

মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। কেভিন ডি ব্রুইনে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন মার্কো রয়েস। জয়সূচক গোলটি করেন ফিল ফোডেন।

বুরুশিয়ার বিপক্ষে এদিন প্রায় ৬১ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখলেও প্রথম সুযোগটি পায় ডর্টমুন্ড। সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সে দুরূহ কোণ থেকে জুড বেলিংহামের শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন সিটি গোলরক্ষক এডেরসন।

১৯তম মিনিটে গোলের উদ্দেশে নিজেদের প্রথম শটেই সাফল্য পায় ম্যানসিটি। মাঝমাঠে সফরকারী ডিফেন্ডার এমরে কানের ভুলে বল পায় তারা। ডি ব্রুইনে বল নিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সের ভেতর বাঁ দিকে বাড়ান ফোডেনকে। তার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে কাট ব্যাক করেন রিয়াদ মাহরেজ। কাছ থেকে ডান পায়ের শটে বাকিটা সারেন ডি ব্রুইনে।

৩০তম মিনিটে ডি-বক্সে কানের চ্যালেঞ্জে রদ্রি পড়ে গেলে স্বাগতিকদের পেনাল্টি দেন রেফারি। তবে ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। এর সাত মিনিট পর বেলিংহাম বল জালে পাঠালেও গোল মেলেনি। ডি-বক্সের বাইরে বল ক্লিয়ার করতে বেশ খানিকটা সময় নেন এডেরসন। ছুটে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফাঁকা জালে পাঠান বেলিংহাম। এই মিডফিল্ডার প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পায়ে আঘাত করায় ফাউলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, আগে বল স্পর্শ করেছিলেন তিনি।

শেষ ষোলোয় সেভিয়ার বিপক্ষে দুই লেগেই জোড়া গোল করা আর্লিং হলান্ড প্রথমার্ধে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভালো একটি সুযোগ পান তিনি। সতীর্থের থ্রু বল পেয়ে এই তরুণ ফরোয়ার্ডের নিচু শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান এডেরসন।

৬৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে সিটির সামনে। ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে ডে ব্রুইনের পাসে ফোডেনের নেওয়া শট পা দিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।

৭৬তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডে ব্রুইনের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে তার পাসে ফোডেনের শট ফেরান গোলরক্ষক। ৮৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে ডর্টমুন্ড। হলান্ডের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে এদেরসনকে পরাস্ত করেন রয়েস।

জমে ওঠা ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ফোডেন। ডি ব্রুইনের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে ইলকাই গিনদোয়ান নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফোডেনকে পাস দেন। সহজেই বাকি কাজ সারেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে আগামি ১৫ এপ্রিল মুখোমুখি হবে দুই দল।


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *