ইমুনিটি বাড়াতে চাই খাঁটি মধু |

‘সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’ প্রত্যয়ে আজ বুধবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৫০ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সদস্য রাষ্ট্রগুলো। সংকটময় সময়ে শক্তিশালী ইম্যুনিটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি মানুষকে সুস্বাস্থ্য ও হাইজিন বিষয়ে নতুনভাবে ভাবতে শিখিয়েছে। ইম্যুনিটি ও সুস্থতা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান এই সচেতনতা সুস্থ, সবল জীবনের অত্যাবশ্যক। মধুর মতো প্রাকৃতিক ও খাঁটি খাদ্যদ্রব্য এবং এই রকম অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা এখন ব্যাপক এবং অধিকাংশ মানুষের ইম্যুনো-সমৃদ্ধ আদর্শ খাবারের তালিকায় প্রথম পছন্দ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মানুষকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। অসংখ্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস হিসেবে অধিকাংশ মানুষের প্রথম পছন্দ হলো মধু। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মধু লিকুইড গোল্ড হিসেবেও পরিচিত। 

খাঁটি মধুর উপকারিতা প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান বলেন, পুষ্টি উপাদানে ভরপুর মধু। একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে আমি মধুকে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করি। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কথা বলা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি জানান, মধুতে ভিটামিন, আয়রন থেকে শুরু দৈনন্দিন কাজের উপযোগী নানা পুষ্টিগুণ আছে। এ ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানও আছে এতে। টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে করোনারি হার্ট ডিজিজ, কিডনি বা ফ্যাটি লিভারের মতো নানা সমস্যায় খাঁটি মধু উপকারী। যাদের হজমে সমস্যা আছে তাদের জন্যও মধু দরকারি। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের মধুই পাওয়া যায়। সেখান থেকে খাঁটি মধু নির্বাচন করা অনেক কঠিন। রং, ঘনত্ব এবং স্বাদ মধু নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ।

ভেজাল মধু খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে পুষ্টিবিদ ইসরাত বলেন, ভেজালযুক্ত মধু ক্ষতিকর। এতে পুষ্টির মান পূরণ হয় না বরং ওজন বেড়ে যায়। এ ছাড়া নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য ভেজাল বর্জন ও খাঁটি মধু চেনা গুরুত্বপূর্ণ। মধু বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের কথা মাথায় রাখতে হবে।

ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আশীষ গোপাল বলেন, বর্তমান সময়ে কী করছি আর কী খাচ্ছি সে ব্যাপারে আমরা সকলেই অত্যন্ত সচেতন। সবশেষে একজন ভোক্তার অবশ্যই খাবারের বিশ্বাসযোগ্যাতা যাচাই করে নেওয়া উচিত, বিশেষ করে তা যদি হয় ইম্যুনিটি সহায়ক খাদ্যপণ্য। স্যাফোলা বাজারের সর্বোৎকৃষ্ট মানের ১০০% পিওর হানি সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

স্যাফোলা হানির প্রতিটি ব্যাচই এনএমআর পরীক্ষিত এবং ১০০% পিওরিটির প্রত্যয়নপ্রাপ্ত। ম্যারিকো তার গ্রাহকের সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য নতুন উদ্ভাবনে বিশ্বাস করে এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি স্যাফোলা হানি এই চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে সক্ষম হবে।   


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *