রবীন্দ্রনাথের গান ‘জাতীয় সঙ্গীত’ হিসেবে পেয়ে আমরা গর্ববোধ করি : ফখরুল |

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে বিশ্বকবির গভীর প্রভাব বিদ্যমান। তার রচিত গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্ববোধ করি’।

শনিবার (৮ মে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। জন্মবার্ষিকীতে তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, এশিয়ার প্রথম নোবেল পুরস্কার পাওয়ার বিরল সম্মান অর্জনকারী রবীন্দ্রনাথ তার উপন্যাস, কবিতা ও গানে গভীর জীবনবোধ, প্রকৃতির সঙ্গে সংলগ্নতা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি গভীর আত্মনিবেদন, প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে এক অনাবিল শান্তি ও স্বর্গীয় আনন্দের আবহ তৈরি করে। তার সৃষ্টির মধ্যে প্রাণ-প্রকৃতি এক অনন্যরূপ খুঁজে পাওয়া যায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বাংলা সাহিত্যের যুগোত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ লেখক ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের একজন। অবিনাশী সৃষ্টির দ্বারা তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সঙ্গীত রচয়িতা ও সুরকার হিসেবে এক উচ্চমাত্রায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞান চেতনা ও শিল্পদর্শণ তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল।

কবি রবীন্দ্রনাথ শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন সমাজ, রাজনীতি ও সামাজিক সম্প্রীতির অক্লান্ত ভাষ্যকার। তার অনন্য সৃষ্টিতে চিরাচরিত ধারার বাহিরে স্বাতন্ত্র্যধর্মের পরিচয় মেলে। ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি-সমাজচিন্তা ও বিশ্বভাবনায় এ স্বাতন্ত্র্যবোধ তার বিশাল সাহিত্য সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে বাংলা ভাষাভাষির মানসলোক নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মানব জীবনকে বহমান ও নানা বৈচিত্র্যে উদ্ভাসিত করতে রবীন্দ্রনাথ তার সৃষ্টিতে শিল্পমণ্ডিত ঐশ্বর্যের মায়াবী স্বপ্নের জগৎ বিনির্মাণ করেন। আমি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মার শান্তি কামনা করি।


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *