জেমসকে ‘সো কল্ড লেজেন্ড’ বলে কটাক্ষ নোবেলের |

‘তোদের সো কল্ড লেজেন্ড জেমসের কয়ডা গান রিলিজ হইসে গত কয়েক বছরে? ঝিমায় গেছে নাকি? লুল!’ এমন একটি পোস্ট ঈদের আগের রাতে মাইনুল আহসান নোবেলের ফেসবুক থেকে পোস্ট করা হয়। মধ্যরাতের এই পোস্ট নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান সংগীত সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই মনে করছিলেন নোবেলের ফেসবুক পেইজটি হ্যাক হয়ে গেছে। এরপর জেমসকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে রাতভর পোস্ট আসতে আসতেই থাকে। 

 অপর পোস্টে লেখা হয়,  ‘ওই জেমস! ঈদের গান কই? নাকি ভয়েস গেছেগা?’

বেসামালের মতো ওইসব পোস্টের আরেকটি হলো ‘বেটা বয়স হইসে। এবার বাদ দে গান বাজনা। বহুত করসোস।’ এটাও জেমসকে নিয়ে কি না দ্বিধায় পড়ে যান ভক্তরা। যেহেতু ক্রমেই জেমসকে নিয়ে লিখছেন স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায় এটাও লক্ষ্য জেমস। 

এরপরে তীব্র কটাগক্ষ করেন নোবেল। লেখেন, ‘লেগেন্ড রে!! ওরে লেগেন্ড!! গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোয়না! আবার লেগেন্ড মারায়! বুইড়া!’ নোবেলের এমন ‘অস্বাভাবিক’ আচরণে ভক্তরাও তীব্র আক্রমণ শুরু করেন। চলতেই থাকে মন্তব্যের খেলা।

এরপর ব্যান্ডতারকা জেমসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন জেমস। লেখেন,  ‘জেমস “অভিনয়” কভার করুক। তারপর বুঝবো কার গলায় কত জোর। আমি জেমসের গান ঘুমায় ঘুমায় গেয়ে দেবো। লুল।’

কিছুদিন আগের নোবেলের অভিনয় গান মুক্তি পায়। এই গানে প্রশংসাও পান নোবেল। এই গান রিলিজের পূর্বে নোবেলের আগের সকল ধৃষ্টতার জন্য ক্ষমাও চান।

ফেসবুকের অপর পোস্টে লেখা হয়, ‘সারা জীবন মার্জুকের, প্রিন্সের, রেন্ডিয়ার প্রিতমের গান গায়া হিট হইছো! নিজে কি ছিড়ছো?’

আরেকটি পোস্টে নোবেল লেখেন, ‘জেমস কে ওপেন CHALLENGE! একই গান জেমস গাবে আমিও গাবো!’ সকালে উঠে অবশ্য নোবেল নিজের ছবি সম্বলিত পোস্ট দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। 

পেইজ হ্যাকড হয়েছে কি না এ বিষয়ে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, ‘নোবেলের পেইজ হ্যাক হয়নি যারা এটা ভাবছেন তারা ভুলের মধ্যে আছেন।
কারণ যে কোনো পেইজের এডমিন রিমুভ করতে হলে এখন আগে তার কাছে নোটিফিকেশন যাবে এবং সে যদি না চায় তাকে কোনো ভাবেই পেইজ থেকে রিমুভ করতে পারবে না। নোবেল শুধু মাত্র নিজের মিউজিক ভিডিওর প্রচারণার জন্য এই সমস্ত লেইম মার্কা পোস্ট করতেছে।’

ভারতের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের রিয়ালিটি শোতে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের উঠতি তরুণ সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল।  বিতর্ক ছড়িয়ে নোবেল কিছুদিন আগেও লিখেছেন, ‘তোমাদের কারণেই আমি নোবেল। তোমাদের ছাড়া আমি কিছুই না। কিচ্ছু না! জিরো! জাস্ট জিরো।’

নোবেলের একচ্ছত্র আধিপত্য তৈরি হয়েছিল দুই বাংলার সংগীতাঙ্গনে। সে জায়গায় চিড় ধরেছে। তবে এমনটা হবে তা বোধ হয় আঁচ করতে পারেননি নোবেল। বিতর্ক তার ছায়াসঙ্গী। কখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আবার কখনো তার ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক প্রেম ও মেয়েদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। 

চলতি বছরের শুরুতেও অনুতপ্ত হয়ে নোবেল লিখেছিলেন, ‘এত যে হেটার্স হেটার্স করো! আসলে এরা কারা? দিন শেষে সাউন্ডটেক চ্যানেল হোক, আর নোবেল ম্যান চ্যানেল হোক, এরা আমার গান কিন্তু টুকটাক শোনে। সেই অধিকারের জায়গা থেকে একটা আবদার করি ভাই-বোন-মা-বাবা, বাদ দাও না এবার।’

নোবেল বলেন, ‘আমি জানি আমার মতো দু-চারটা নোবেল না থাকলে সংগীত জগতের কিচ্ছু আসবে যাবে না। তবে আরেকটা সুযোগ চাই। বিশ্বাস রাখো, আমার কাছে বাংলা গানকে দেওয়ার মতো কিছু হলেও আছে। তবে কি এবার ঘৃণার সাগরের স্নানটা শেষ করে একটু ভালোবাসা দেওয়া যায় না? আর কিচ্ছু চাই না আমি, একটু ভালোবাসা ছাড়া। আর কত কষ্ট দিবা? আমিও তো মানুষ।’


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *