করোনার কারণে গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না দুই শ বছরের অধিক সময় ধরে চলা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ মহা-বারুনী মেলা ও স্নানোৎসব। করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় এই সিধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ঠাকুর বাড়ির অন্যতম সদস্য সুব্রত ঠাকুর এবং মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি শচীপতি ঠাকুর।
দলিত নিপীড়িত হিন্দু সম্প্রদায়ের মুক্তি ও ত্রাণকর্তা হিসেবে খ্যাত শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দির ঐতিহ্যবাহী ঠাকুর বাড়িতে এ স্নানোৎসব ও মহা-বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ বছর ছিল ঠাকুরের ২১০তম আবির্ভাব দিবস, সানোৎসব ও মেলা। এ স্নানোৎসবে দেশ-বিদেশের প্রায় দশ লক্ষাধিক মতুয়া ভক্ত স্নান ও মেলায় যোগ দিতে আসেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আগামীকাল শুক্রবার (৯ এপ্রিল) স্নানোৎসব ও বারুনী মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হওয়ায় এই উৎসব স্থগিত করা হয়েছে।
ঠাকুর পরিবারের সদস্য সম্পদ ঠাকুর বলেন, এ বছর হারিচাঁদ ঠাকুরের ২১০তম জম্মতিথি উপলক্ষে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়িতে স্নানোৎসব ও তিন দিনব্যাপী মেলা হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু দেশব্যাপী করোনার প্রার্দুভাব বেড়েছে তাই মেলা বন্ধ রাখতে হবে। তবে এদিন ঠাকুর পরিবারের পক্ষ থেকে স্নান ও পূজা অর্চনা করা হবে।
ঠাকুর পরিবারের অপর সদস্য ও কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ও সকলের সুস্থতার কথা চিন্তা করে মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। স্নানোৎসবে যোগ দিতে আশপাশের গ্রামের ঠাকুরের ভক্তরা যদি এসেই পড়েন তাহলে তাদের সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করার অনুরোধ করছি।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় সরকার যে সিধান্ত গ্রহণ করেছে সেগুলো গোপালগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। এর মধ্যে ওড়াকান্দির বারুণী স্নানোৎসব ও মেলার বিষয়টি পড়ে যায়। তবে ঠাকুর বাড়ির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে এই উৎসব পালনের জন্য কোনো আবেদন করা হয়নি।
Source: kalerkantho