ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিকায় আগ্রহ কম |

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র মতে, প্রথম ডোজের জন্য টিকা আসে এক লাখ আট হাজার। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৪ হাজার ১৮১ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহন করেন, রেজিস্ট্রেশন করেন ৭৭ হাজার ৮৩১ জন। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন করাদের মধ্য থেকেই প্রায় ১৩ হাজার লোক টিকা নেননি। সব মিলিয়ে থেকে যায় প্রায় ৩০ হাজার টিকা। আর থেকে যাওয়া প্রথম ডোজের টিকা থেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকা দেয়া বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহনের এমন পরিস্থিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। সার্বিক চিত্র থেকে দেখা যায়, জেলায় টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে সাধারন মানুষের মধ্যে আগ্রহ অনেকটাই কম। তবে তুলনামূলকভাবে সরকারি চাকুরেরা বেশি টিকা নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে সস্ত্রীক টিকা নিতে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম শফিকুল্লাহ। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার পর কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানান তিনি।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রানা নূরুস্ শামস জানান, শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত একাধারে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম চলবে। কেউ কোনো সমস্যা অনুভব করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত আছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. একরাম উল্লাহ জানান, দ্বিতীয় ডোজের টিকা এখনো এসে পৌঁছায়নি। আগের ডোজের থেকে যাওয়া প্রায় ৩০ হাজার টিকা থেকেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। ওই টিকা থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়াও অব্যাহত থাকবে। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের চালান চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেননি।

তিনি আরো জানান, যারা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন তাঁদের আট সপ্তাহ পার হলে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ এলে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবেন। তবে কোন কারণে ম্যাসেজ না পেলে আট সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পর নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহন করা যাবে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে এ বিষয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *