রাজধানী ঢাকার করোনা সংক্রমণের এলাকাভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার অধিদপ্তরের আইইডিসিআর থেকে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ১৪ হাজার ৩৩২টি নমুনা পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ১০৩ জন (শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশ) এবং ঢাকা উত্তরের ৩৬ হাজার ৭৭১টি নমুনা পরীক্ষায় ১০ হাজার ৮৪৩ জন শনাক্ত হয়েছে (শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ)। এই বিশ্লেষণ তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই তথ্যে জানানো হয়, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রূপনগর (৪৬ শতাংশ) ও আদাবর (৪৪ শতাংশ)। এ ছাড়া আরো ১৭টি থানায় কারোনা শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের ওপরে, ২৩ থানায় ২০ শতাংশের ওপরে এবং সাতটি থানায় ১১ শতাংশের ওপরে।
ওই তথ্যের গড় হিসাব করে আইইডিসিআর উল্লেখ করেছে, ঢাকায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১-২০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে তেজগাঁও, উত্তরা পশ্চিম থানা, ভাসানটেক, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও তেজগাঁও শিল্প এলাকা এলাকা। ২১-৩০ শতাংশ শনাক্তের হার রয়েছে শাহবাগ, বংশাল, লালবাগ, শাহজাদপুর, রমনা, কামরাঙ্গীর চর, শ্যামপুর, বাড্ডা, বনানী, উত্তরখান, শেরেবাংলানগর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্লবী, কাফরুল, ডেমরা, ওয়ারী, ভাটারা, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, কদমতলী, উত্তরা পূর্ব থানা ও পল্টন। এ ছাড়া সর্বোচ্চ সংক্রমণ বা ৩১ শতাংশের ওপরে শনাক্তের হার রয়েছে রূপনগর, আদাবর, শাহ আলী, রামপুরা, তুরাগ, মিরপুর, কলাবাগান, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মুগদা, গেণ্ডারিয়া, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট, চকবাজার, সবুজবাগ, মতিঝিল, দারুসসালাম ও খিলগাঁওয়ে।
এ ব্যাপারে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই করোনা সংক্রমণসহ অন্যান্য রোগের গতিবিধি নিয়ে কাজ করছি। সেগুলোর মধ্যে এখন করোনাভাইরাসের নানা রকম গবেষণার বিষয়গুলো প্রকাশ করছি। প্রতিদিনই বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থাকছে।’
Source: kalerkantho