তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল : ব্যাটসম্যান বাবরের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

পাকিস্তানের অধিনায়ক তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা উদীয়মান ব্যাটসম্যান বাবর আজম আইনী ঝামেলায় ফেঁসে যাচ্ছেন । গত বছর হামিজা মুখতার নামে একজন নারী বাবরের বিরুদ্ধে হয়রানি ও নিগ্রহের অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল ও হয়রানির অভিযোগে বাবরের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দেশটির ফেডারেল তদন্ত সংস্থাকে (এফআইএ) নির্দেশ দিয়েছে লাহোরের একটি আদালত। 
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানের লাহোরে সংবাদ সম্মেলন করে হামিজা অভিযোগ করেন, তাদের দুজনের ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাবর তার সঙ্গে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। একপর্যায়ে পেটে বাচ্চা এলে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন বাবর। প্রমাণ হিসেবে সেসবের চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাগজপত্রও দিয়েছেন অভিযোগকারী নারী। তখন পাকিস্তানের নাসেরাবাদ পুলিশ স্টেশনে বাবরের বিরুদ্ধে এফআইআর করাতে গেলে তখনো বাবর তাকে আবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে নিবৃত্ত করেন। কিন্তু নামডাক হওয়ার পর বাবর তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর থানায় অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
যে কারণে বাবরের পাশাপাশি আরও দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সেসময় তিনি একটি আদালতে মামলার আবেদন করেন, তখন পুলিশকে মামলার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মামলাটি কখনও নিবন্ধিত হয়নি। যদিও বাবরের আইনী দল লাহোর হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ এবং পরে পিএসএলে খেলতে বাবর জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় প্রাথমিক শুনানি ২২ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। এরপর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে ফোনে হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেন হামিজা। তদন্তে একটি নাম্বারের সন্ধান পায় এফআইএ, যা বাবরের নামে নিবন্ধিত।
মোবাইল নম্বর মিলে যাওয়ার পর বাবরকে তলব করে এফআইএ। তবে বাবর হাজিরা দেননি। বাবরের পক্ষ থেকে তার ভাই ফয়সাল আজম উপস্থিত হয়ে আরও সময় চেয়েছিলেন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারক হামিদ হুসেন এফআইএকে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা নিবন্ধনের নির্দেশনা দেন। আদালতের নির্দেশের পর বাবরের পরিবার ভোল পাল্টে দাবি করছে, তারা এফআইএর কোনো সমন পায়নি। তারা লাহোর হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *