অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইলে পড়ুন

এক সময়ে পৃথিবীর যেকোনো দেশের নাগরিকদের যেকোনো রাষ্ট্রে অবাধে প্রবেশাধিকারের সুযোগ বিদ্যমান ছিলো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় নিজ দেশের বাইরে গমন করা বেশ জটিল। বর্তমান সময়ে নানাবিধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়। এসব প্রক্রিয়া রাষ্ট্র অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত মানুষ উচ্চশিক্ষা অর্জন ও কর্মজীবন শুরু করার জন্য বিদেশে গমন করে থাকে।

Source: finder.com

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া যতটা সহজ, বরং কর্মজীবন শুরু করা তারচেয়ে বেশ কঠিন। আপনি যদি দেশের বাইরে কর্মজীবন শুরু করতে চান, তবে আপনার শুধুমাত্র ব্যক্তিগত দক্ষতা থাকলেই হবে না, বরং যে দেশে ক্যারিয়ার গড়তে চান, সে দেশে কীভাবে বাহিরের রাষ্ট্রের নাগরিকেরা কাজ করার সুযোগ পেতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং তদানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবেই আপনি সে দেশে কাজ করার সুযোগ পাবেন, অন্যথায় আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আপনি ক্যারিয়ার গড়তে ব্যর্থ হবেন। বিশ্বের বেশ কিছু রাষ্ট্র রয়েছে, যেসব দেশে সাধারণত মানুষ ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। তেমনি একটি রাষ্ট্র হলো অস্ট্রেলিয়া। বসবাসের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি সেরা দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদেশের জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত এবং দেশটি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ানেরা শিক্ষিত, উদার ও খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার জন্য সুপরিচিত। আপনার যদি স্বপ্ন থাকে অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার শুরু করবেন, তাহলে আপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে, অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে যা যা জানা দরকার, তা এই আর্টিকেলটিতে পাবেন। তাই আপনি অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথমেই এই আর্টিকেলটি পড়ুন।

দেশ পরিচিতি

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে পাপুয়া নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের অবস্থান, উত্তর-পূর্বে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতু এবং দক্ষিণ-পূর্বে নিউজিল্যান্ড অবস্থিত। এই দেশটি আয়তনে বেশ বড়। পার্থ থেকে সিডনির দূরত্ব প্রায় ২৫ হাজার মাইল। আর এই পথ অতিক্রম করতে ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। কারণ বিভিন্ন টাইমজোন এবং মরুভূমির মধ্য দিয়ে এই পথ অতিক্রম করতে হয়। আয়তনের তুলনায় এই দেশে জনসংখ্যা খুবই কম। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ৩.২ জন।

Image result for australia visitImage result for australia visit

এমনকি এই দেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য ভিক্টোরিয়া, এই অঞ্চলেও প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র প্রায় ২৪ জন মানুষ বাস করে। সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেন, পার্থ এবং অ্যাডিলেড হলো অস্ট্রেলিয়ার জনবহুল পাঁচটি শহর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী জনসংখ্যার মধ্যে তরুণদের হার সংখ্যায় বেশি। বসবাসকারীদের মধ্যে ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের হার প্রায় ৪১ শতাংশ। বেশিরভাগ মানুষই বাস করে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল রেখা বরাবর। ব্রিটিশরা ১৭৮৮ সালে এই দেশে প্রথম বসতি স্থাপন করেছিলো বলে মনে করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্যাপক হারে অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে শুরু করে। ফলে জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন খুব দ্রুত ঘটে। শুরুর দিকে অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রমুখী থাকলেও, গত ২০ বছর ধরে এশিয়ার সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

Source: hostelworld.com

এতে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষদের, অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গড়ার অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই অস্ট্রেলিয়ায় সফল ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। আপনিও যদি অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গঠন করার স্বপ্ন দেখে থাকেন, তবে আপনার দক্ষতা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী চেষ্টা করুন। প্রত্যাশা করা যায়, খুব সহজেই নান্দনিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হবেন।

Image result for australia visitImage result for australia visit

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সমূহ

অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ বিদ্যমান রয়েছে। যেমন: ইউরোনিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, সোনার খনি ইত্যাদি। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হওয়ার কারণে, এই দেশে ধাতু ও খনি শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। আপনি ইচ্ছা করলে, খুব সহজেই ধাতু ও খনি শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবন শুরু করতে পারবেন। আবার সাম্প্রতিক সময়ে নিউ সাউথ ওয়েলসে পঞ্চাশ বিলিয়নের পরিবহন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, এতে ম্যাটেরিয়াল এবং পরিবহন শিল্পে প্রচুর চাকরির পদ সৃষ্টি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া আর্থিক শিল্পেও বেশ সমৃদ্ধ ; কমনওয়েলথ ব্যাংক, ওয়েস্টপ্যাক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া ও এএনজেডয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই শিল্পের অগ্রগতিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

Source: ayrbackpackers.com

এসব কোম্পানির পাশাপাশি বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান, যেমন: আইবিএম, ওরাকল, আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং, ডেলোয়েট ইত্যাদি কোম্পানিগুলোও প্রচুর কর্মপরিবেশ তৈরি করেছে। এসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বাইরেও অস্ট্রেলিয়ায় আরো কিছু চাকরির ক্ষেত্র বিদ্যমান আছে। যেমন,
১. ভ্রমণ খাত
২. রাসায়নিক শিল্প
৩. ইস্পাত কারখানা
৪. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান
৫. তথ্য প্রযুক্তি খাত
৬. শিক্ষা খাত
৮. কৃষি। অস্ট্রেলিয়া কৃষি শিল্পের উপরেও অনেকটাই নির্ভরশীল। এই দেশে প্রায় ৩৭ হাজার শ্রমিক কৃষিতে কর্মরত আছে।

Image result for australia flag studentImage result for australia flag student

স্নাতক স্তরের চাকরি

যেসব চাকরিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর কিংবা আরো উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা কর্মজীবন শুরু করা সুযোগ পেতে পারে, সাধারণত সেসব চাকরিগুলোই স্নাতক পর্যায়ের চাকরি বলা হয়ে থাকে। এসব চাকরিতে নিয়োগ পেতে হলে, আপনাকে অবশ্যই স্নাতক পর্যায়ের ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। এছাড়াও ভালো যোগাযোগের দক্ষতা, লিডারশিপ, সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা ইত্যাদি গুণাবলি থাকা জরুরী। অস্ট্রেলিয়ার স্নাতক পর্যায়ের চাকরিগুলোকে বিশ্বের প্রথম সারির চাকরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কারণ এসব চাকরিতে কর্মজীবন শুরু করে, খুব সহজেই উন্নতমানের জীবনযাপন করা সম্ভব হয়। অস্ট্রেলিয়াতে স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্র রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-
১. হিসাব সংক্রান্ত
২. ব্যাংকিং ও আর্থিক
৩. নির্মাণ শিল্প
৪. সরকারি ও সরকারি সেবা সংক্রান্ত

Source: news.com

৫. আইন
৬. খনি, তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র
৭. প্রযুক্তি খাত
৮. পরিবহন ও সরবরাহ ক্ষেত্র
৯. শিক্ষকতা
আমি এই আর্টিকেলটির প্রথম পর্বে অস্ট্রেলিয়া দেশটির পরিচয় তুলে ধরেছি এবং বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি এসব চাকরিতে কীভাবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। এ সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও তথ্য জানতে ২য় তথা শেষ পর্বটি পড়ুন। ২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

F

Image result for australia visitImage result for australia visit

এক সময়ে পৃথিবীর যেকোনো দেশের নাগরিকদের যেকোনো রাষ্ট্রে অবাধে প্রবেশাধিকারের সুযোগ বিদ্যমান ছিলো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় নিজ দেশের বাইরে গমন করা বেশ জটিল। বর্তমান সময়ে নানাবিধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়। এসব প্রক্রিয়া রাষ্ট্র অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত মানুষ উচ্চশিক্ষা অর্জন ও কর্মজীবন শুরু করার জন্য বিদেশে গমন করে থাকে।

Source: finder.com

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া যতটা সহজ, বরং কর্মজীবন শুরু করা তারচেয়ে বেশ কঠিন। আপনি যদি দেশের বাইরে কর্মজীবন শুরু করতে চান, তবে আপনার শুধুমাত্র ব্যক্তিগত দক্ষতা থাকলেই হবে না, বরং যে দেশে ক্যারিয়ার গড়তে চান, সে দেশে কীভাবে বাহিরের রাষ্ট্রের নাগরিকেরা কাজ করার সুযোগ পেতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং তদানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবেই আপনি সে দেশে কাজ করার সুযোগ পাবেন, অন্যথায় আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আপনি ক্যারিয়ার গড়তে ব্যর্থ হবেন। বিশ্বের বেশ কিছু রাষ্ট্র রয়েছে, যেসব দেশে সাধারণত মানুষ ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। তেমনি একটি রাষ্ট্র হলো অস্ট্রেলিয়া। বসবাসের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি সেরা দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদেশের জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত এবং দেশটি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ানেরা শিক্ষিত, উদার ও খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার জন্য সুপরিচিত। আপনার যদি স্বপ্ন থাকে অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার শুরু করবেন, তাহলে আপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে, অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে যা যা জানা দরকার, তা এই আর্টিকেলটিতে পাবেন। তাই আপনি অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথমেই এই আর্টিকেলটি পড়ুন।

দেশ পরিচিতি

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে পাপুয়া নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের অবস্থান, উত্তর-পূর্বে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতু এবং দক্ষিণ-পূর্বে নিউজিল্যান্ড অবস্থিত। এই দেশটি আয়তনে বেশ বড়। পার্থ থেকে সিডনির দূরত্ব প্রায় ২৫ হাজার মাইল। আর এই পথ অতিক্রম করতে ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। কারণ বিভিন্ন টাইমজোন এবং মরুভূমির মধ্য দিয়ে এই পথ অতিক্রম করতে হয়। আয়তনের তুলনায় এই দেশে জনসংখ্যা খুবই কম। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ৩.২ জন।

Image result for australia visitImage result for australia visit

এমনকি এই দেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য ভিক্টোরিয়া, এই অঞ্চলেও প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র প্রায় ২৪ জন মানুষ বাস করে। সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেন, পার্থ এবং অ্যাডিলেড হলো অস্ট্রেলিয়ার জনবহুল পাঁচটি শহর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী জনসংখ্যার মধ্যে তরুণদের হার সংখ্যায় বেশি। বসবাসকারীদের মধ্যে ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের হার প্রায় ৪১ শতাংশ। বেশিরভাগ মানুষই বাস করে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল রেখা বরাবর। ব্রিটিশরা ১৭৮৮ সালে এই দেশে প্রথম বসতি স্থাপন করেছিলো বলে মনে করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্যাপক হারে অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে শুরু করে। ফলে জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন খুব দ্রুত ঘটে। শুরুর দিকে অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রমুখী থাকলেও, গত ২০ বছর ধরে এশিয়ার সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

Source: hostelworld.com

এতে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষদের, অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গড়ার অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই অস্ট্রেলিয়ায় সফল ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। আপনিও যদি অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গঠন করার স্বপ্ন দেখে থাকেন, তবে আপনার দক্ষতা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী চেষ্টা করুন। প্রত্যাশা করা যায়, খুব সহজেই নান্দনিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হবেন।

Image result for australia visitImage result for australia visit

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সমূহ

অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ বিদ্যমান রয়েছে। যেমন: ইউরোনিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, সোনার খনি ইত্যাদি। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হওয়ার কারণে, এই দেশে ধাতু ও খনি শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। আপনি ইচ্ছা করলে, খুব সহজেই ধাতু ও খনি শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবন শুরু করতে পারবেন। আবার সাম্প্রতিক সময়ে নিউ সাউথ ওয়েলসে পঞ্চাশ বিলিয়নের পরিবহন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, এতে ম্যাটেরিয়াল এবং পরিবহন শিল্পে প্রচুর চাকরির পদ সৃষ্টি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া আর্থিক শিল্পেও বেশ সমৃদ্ধ ; কমনওয়েলথ ব্যাংক, ওয়েস্টপ্যাক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া ও এএনজেডয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই শিল্পের অগ্রগতিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

Source: ayrbackpackers.com

এসব কোম্পানির পাশাপাশি বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান, যেমন: আইবিএম, ওরাকল, আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং, ডেলোয়েট ইত্যাদি কোম্পানিগুলোও প্রচুর কর্মপরিবেশ তৈরি করেছে। এসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বাইরেও অস্ট্রেলিয়ায় আরো কিছু চাকরির ক্ষেত্র বিদ্যমান আছে। যেমন,
১. ভ্রমণ খাত
২. রাসায়নিক শিল্প
৩. ইস্পাত কারখানা
৪. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান
৫. তথ্য প্রযুক্তি খাত
৬. শিক্ষা খাত
৮. কৃষি। অস্ট্রেলিয়া কৃষি শিল্পের উপরেও অনেকটাই নির্ভরশীল। এই দেশে প্রায় ৩৭ হাজার শ্রমিক কৃষিতে কর্মরত আছে।

Image result for australia flag studentImage result for australia flag student

স্নাতক স্তরের চাকরি

যেসব চাকরিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর কিংবা আরো উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা কর্মজীবন শুরু করা সুযোগ পেতে পারে, সাধারণত সেসব চাকরিগুলোই স্নাতক পর্যায়ের চাকরি বলা হয়ে থাকে। এসব চাকরিতে নিয়োগ পেতে হলে, আপনাকে অবশ্যই স্নাতক পর্যায়ের ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। এছাড়াও ভালো যোগাযোগের দক্ষতা, লিডারশিপ, সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা ইত্যাদি গুণাবলি থাকা জরুরী। অস্ট্রেলিয়ার স্নাতক পর্যায়ের চাকরিগুলোকে বিশ্বের প্রথম সারির চাকরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কারণ এসব চাকরিতে কর্মজীবন শুরু করে, খুব সহজেই উন্নতমানের জীবনযাপন করা সম্ভব হয়। অস্ট্রেলিয়াতে স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্র রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-
১. হিসাব সংক্রান্ত
২. ব্যাংকিং ও আর্থিক
৩. নির্মাণ শিল্প
৪. সরকারি ও সরকারি সেবা সংক্রান্ত

Source: news.com

৫. আইন
৬. খনি, তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র
৭. প্রযুক্তি খাত
৮. পরিবহন ও সরবরাহ ক্ষেত্র
৯. শিক্ষকতা
আমি এই আর্টিকেলটির প্রথম পর্বে অস্ট্রেলিয়া দেশটির পরিচয় তুলে ধরেছি এবং বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি এসব চাকরিতে কীভাবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। এ সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও তথ্য জানতে ২য় তথা শেষ পর্বটি পড়ুন। ২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

Image result for australia visitImage result for australia visit

দেশের বাইরে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, অবশ্যই কিছু নিয়ম-কানুন ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করা ও দিকনির্দেশনা না জানার কারণে, অনেকেই বিদেশে ক্যারিয়ার গড়তে ব্যর্থ হয়ে থাকে। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গঠন করতে চান, তবে আপনাকেও কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

Source: migration-agent.com

আমি প্রথম পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন চাকরি সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরেছি। আর এই পর্বে চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়া ও নিয়ম-কানুন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা, পরামর্শ ও তথ্যাবলি নিয়ে আলোচনা করবো।

কাজের ভিসা

অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা পাওয়া মূলত নির্ভর করে, আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা এবং কী ধরনের কাজ খুঁজছেন তার উপরে। অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রচলিত আছে। চলুন, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা সম্পর্কে জেনে নিই।

১.স্কিলড ভিসা (Skilled Visas)

এই ভিসা পেতে হলে আপনাকে আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। যোগ্যতা ও দক্ষতা বিবেচনাপূর্বক এই ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। আর এই ভিসা পেয়ে গেলে, আপনি খুব সহজেই আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পেয়ে যাবেন।

Source: interexchange.org

২. এমপ্লোয়ার স্পনসর্ড ওয়ার্কার্স (Employer Sponsored Workers)

আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তাদের দ্বারা নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন এবং তারা আপনাকে স্পন্সর করতে সম্মত থাকে। তবে আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে সক্ষম হবেন।

৩. হারভেস্ট ট্রেইল (Harvest Trail)

আপনি যদি ভ্রমণের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার খামারগুলোতে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে চান, তবে আপনাকে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

৪. ওয়ার্কিং হলিডে ভিসা (Working Holiday Visa)

যাদের বয়স আঠারো থেকে ত্রিশের মধ্যে এবং এক বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করতে আগ্রহী। তারাই কেবল এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।

Source: lilyandyecrossthebigpond

আপনার বয়স যদি আঠারো থেকে ত্রিশের মধ্যে হয় এবং আপনি এক বছরের জন্য কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তবে এই ভিসার জন্য আবেদন করুন।

উপার্জন

উপার্জন মূলত যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে থাকে। সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় পূর্ণকালীন চাকরির বার্ষিক গড় বেতন প্রায় ৮৫ হাজার ডলার। আর ন্যূনতম মজুরি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৮ ডলার। তবে আপনার পেশার উপর ভিত্তি করে, এই উপার্জন অনেক কম বেশি হতে পারে। চিকিৎসা খাতে যারা কাজ করেন, তাদের মধ্যে সার্জনদের বার্ষিক গড় বেতন প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার। অপরদিকে হিসাবরক্ষকের বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৫৫ হাজার ডলার। খুচরো বিক্রয় সহায়তাকারীর প্রতি ঘন্টায় আয় সাধারণত ২০ ডলার।

Source: meldmagazine.com

আপনি যদি ওয়ার্কিং হলিডে ভিসায় অস্থায়ী কাজে নিযুক্ত হয়ে থাকেন, তবুও বেশ মানসম্মত উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। ফসল সংগ্রহ ও ফল বাজারজাতকরণ সংক্রান্ত কাজে অংশ নিয়ে, প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। তবে এ কাজে একটু দীর্ঘ ও কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। রেস্টুরেন্ট, হোটেল কিংবা বারে অফিসকর্মী বা আতিথেয়তাকর্মী হিসেবে কাজ করে, প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২০ ডলার উপার্জন করতে পারবেন।

ট্যাক্স প্রদান

অস্ট্রেলিয়ায় মূলত বাসস্থানের ধরনের উপর ট্যাক্স প্রদান করতে হয়। আপনি যদি ওয়ার্কিং হলিডে ভিসায় থাকেন, তবে আপনি একজন অনাবাসিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে স্থায়ী বাসিন্দাদের তুলনায় একটু বেশি ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।

Source: backpackerjobsaustralia.net

একজন অনাবাসিক হিসেবে আপনাকে প্রতি ১ ডলারে প্রায় ৩২.৫ সেন্ট ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। তবে অনাবাসিক হিসেবে আপনাকে স্থায়ী বাসিন্দাদের মতো মেডিকেয়ার লেভি দিতে হবে না। এক্ষেত্রে আপনি স্থায়ী বাসিন্দাদের ন্যায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না। আপনাকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে।

বসবাস

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের জন্য বেশ উপযুক্ত আবহাওয়া ও পরিবেশ বিরাজমান আছে। সাধারণত ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করা বেশ সুবিধাজনক। কারণ এদের মধ্যে ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত তেমন কোনো পার্থক্য নেই। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের খরচ মূলত এলাকার উপর নির্ভর করে থাকে। যদিও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের খরচ একটু বেশি, তবে আয় অনুযায়ী খরচের হার স্বাভাবিক বলা যায়। অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সিডনি বেশ ব্যয়বহুল একটি শহর। এখানে প্রতি সপ্তাহে আপনাকে প্রায় ৫০০ ডলার ভাড়া দিতে হবে।

Source: interexchang.org

আর ব্রিসবেন ও পার্থ শহরে বেশ সাশ্রয়ী মূল্যে বসবাস করা সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার পরিবহন ব্যবস্থা খুবই চমৎকার এবং যুক্তরাজ্যের তুলনায় অত্যন্ত সাশ্রয়ী। এখানে বড় বড় শহরগুলোতে নির্ভরযোগ্য ও উন্নত মানের বাস নেটওয়ার্ক রয়েছে। আবার সারা দেশ জুড়েই ট্যাক্সি চলাচল করে থাকে। সিডনি, পার্থ ও ব্রিসবেনে ট্রেনে চলাচলের ব্যবস্থাও আছে। এছাড়াও আপনি ইচ্ছা করলে নিজের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন, তবে এক্ষেত্রে আপনাকে লাইসেন্স করে নিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও খুবই উন্নত।

অস্ট্রেলিয়ায় কাজ ও বসবাস করার সুবিধা

অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করে এবং বসবাস করে, আপনি বেশ উন্নত জীবনযাপন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যেসব সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারবেন, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-
১. চমৎকার ও সফল ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ।
২. নির্দিষ্ট পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার জন্য উৎসাহ প্রদান।

Source: visitmelbourne.com

৩. প্রথম শ্রেণীর স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা
৪. বহু সংস্কৃতির মাঝে সহবস্থান
৫. উষ্ণ জলবায়ু

পরামর্শ

পৃথিবীর যেকোনো দেশেই চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাই মুখ্য বিষয়। তাই অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি পেতে হলেও, আপনার এগুলোরই প্রয়োজন হবে। অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার গঠন করার ক্ষেত্রে, যেসব পরামর্শগুলো মাথায় রাখবেন, সেগুলো হলো-
১. বসবাসের জন্য এমন একটি শহর নির্বাচন করুন, যে স্থানের আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে আপনি খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন।
২. আপনি যে চাকরিতে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তার বিকল্পও একটি কাজ পছন্দ করে রাখুন।
৩. আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা বিশ্লেষণ করুন এবং যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী চাকরি খোঁজ করুন।
৪. দেশের বাইরে যেতে হলেই বাধ্যতামূলকভাবে ভিসার প্রয়োজন হয়। তাই অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগেই ভিসা করে নিন।

Source: movingtoaustralia.com

৫. অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি নিয়ে গবেষণা করুন, এতে ভালো প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে পারবেন।
৬. অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই চাকরি খোঁজ করা যায়। তাই অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে, আপনার পছন্দের চাকরিটি নির্বাচন করুন। তারপর ঐ চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করুন।

এসব দিকনির্দেশনা ও পরামর্শগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করলে, আপনি খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়ায় একটি চাকরি পেয়ে যাবেন। আর অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি করার সুযোগ পেলে, আপনি খুব সহজেই সফল ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হবেন।

Featured Image:Gap360.com

(function(d, s, id) {
var js, fjs = d.getElementsByTagName(s)[0];
if (d.getElementById(id)) return;
js = d.createElement(s);
js.id = id;
js.src = “http://connect.facebook.net/en_US/sdk.js#xfbml=1&version=v2.5”;
fjs.parentNode.insertBefore(js, fjs);
}(document, ‘script’, ‘facebook-jssdk’));

(function() {

var loaded = false;
var loadFB = function() {
if (loaded) return;
loaded = true;
(function (d, s, id) {
var js, fjs = d.getElementsByTagName(s)[0];
if (d.getElementById(id)) return;
js = d.createElement(s);
js.id = id;
js.src = “http://connect.facebook.net/en_US/sdk.js#xfbml=1&version=v3.0”;
fjs.parentNode.insertBefore(js, fjs);
}(document, ‘script’, ‘facebook-jssdk’));
};
setTimeout(loadFB, 0);
document.body.addEventListener(‘bimberLoadFbSdk’, loadFB);
})();

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *