সুনামগঞ্জের শাল্লার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজত অনুসারীদের হামলা, লুটপাট ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত এবং একই ঘটনায় দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) রাতে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে এই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় তাদের গাফিলতি প্রমাণিত হওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার ঘটনায় শাল্লা থানার ওসি ও দিরাই থানার ওসির দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। যার ফলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এদিকে এই হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশের উদাসীনতা দায়ী বলে শুরু থেকেই বলে আসছিলেন গ্রামবাসী। পুলিশকে আক্রমণের খবর দেওয়া হলেও যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে গ্রামবাসী বিভিন্ন প্রতিনিধি দলকে অবগত করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রাতে হেফাজত অনুসারীরা ফেসবুকের একটি পোস্ট নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ অভিযুক্ত যুবক ঝুমন দাসকে আটক করে। পরদিন হেফাজত নেতাকর্মীরা ৭টি গ্রামের মসজিদের মাইকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পরিকল্পিতভাবে হামলা ও লুটপাটে অংশ নেয়। এ সময় তারা ৯১টি বাড়ি, ৭টি মন্দির ভাঙচুর করে ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে। বর্তমানে এই মামলায় ৩৫ জন আসামি জেল হাজতে রয়েছে।
Source: kalerkantho