নগদের কোটি টাকা নিয়ে উধাও, কক্সবাজারে ধরা |

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর এজেন্টদের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে আত্মগোপনে গিয়ে আত্মরক্ষা হয়নি প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মচারীর। কক্সবাজারে আত্মগোপন থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ির গ্রামের আনিসুল হকের ছেলে মো. আতিকুর রহমান (২৪), আবদুল হামিদের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৫) ও  আবদুল মান্নানের ছেলে শামীম হোসেন (২৪)। আটককৃতরা সকলেই ঘাটাইল উপজেলা সদরে অবস্থিত মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর ডিস্টিবিউটর প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে ঘাটাইল থানার পুলিশ।

জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল জেলা ডিসট্রিবিউটর মহিউদ্দিন সুমন বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা করেন। পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজারে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হলে গত ৭ এপ্রিল শহরের কলাতলীর সেন্ট মার্টিন রিসোর্ট থেকে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে। 

মামলার বিবরণ ও নগদের স্থানীয় এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহিউদ্দিন সুমন নগদের টাঙ্গাইল জেলার চার উপজেলা ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুর ও দেলদুয়ারের ডিসট্রিবিউশনের দায়িত্ব পালন করেন। ঘাটাইল উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে মা এন্টারপ্রাইজ নাম দিয়ে নগদের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। সাধারণত স্থানীয় এজেন্টরা কম্পানির কর্মীর উপস্থিতিতে মোবাইলের মাধ্যমে ই-মানি ট্রান্সফার করে নগদ টাকা বুঝে নেন।

গত ৩ ও ৪ তারিখ নগদের কর্মীরা নগদ টাকার সংকট দেখিয়ে বাকিতে লেনদেন করেন। এভাবে কর্মীরা ৩০ জন এজেন্টের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পরে ৪ মার্চ বিকেলে ফোন ও অফিস বন্ধ করে কর্মীরা উধাও হন। ওই দিনই জেলা ডিসট্রিবিউটরকে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্টদের নিয়ে থানায় মামলা করেন।

মামলার বাদী জানান, ৩০ জন এজেন্টের কাছ থেকে ৫৬ লাখ এবং ডিসট্রিবিউটরের ৪২ লাখসহ মোট ৯৮ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আত্মগোপনে যান তারা। এ ঘটনায় করা মামলায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় তিন কর্মীকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নগদের টাঙ্গাইল জেলা ডিসট্রিবিউটর মহিউদ্দিন সুমন বলেন, ৩০ জন এজেন্ট ছাড়াও আরো অনেক এজেন্ট তাদের টাকা বেহাত হওয়ায় অভিযোগ করছেন। সকল এজেন্টদের সঙ্গে বসে টাকার বিষয়টি সমাধান করা হবে।

ঘাটাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছাইফুল ইসলাম বলেন, আসামিদের কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *