যেসব নায়কের প্রথম নায়িকা কবরী

ঢাকা, ১৭ এপ্রিল – বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। বরেণ্য এই অভিনেত্রী শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে মারা গেছেন।

এদেশের চলচ্চিত্রে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন কবরী। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব হয় তার। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ সিনেসার নায়িকা হিসেবে অভিনয় জীবনের শুরু করেন। ষাটের দশকের বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নায়কের চলচ্চিত্রে ক্যরিয়ার শুরু হয় নায়িকা কবরীর বিপরীতে।

আরও পড়ুন : কবরী আমাদের প্রথম যুগের বড় তারকা : জয়া আহসান

১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন নায়ক ফারুক। ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমায় নায়িকা হিসেবে পেয়েছেন অভিনেত্রী কবরীকে। এরপর তারা জুটি বেঁধে ‘সুজন সখি’, ‘সারেং বউ’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘তৃষ্ণা’, ‘আশা’, ‘আর্শিনগর’ সিনেমায় অভিনয় করেন।

নায়ক উজ্জ্বলকে বলা হতো মেগাস্টার। ১৯৭০ সালে প্রথম অভিনয় করেন ‘বিনিময়’ সিনেমায়। তার এই সিনেমায় নায়িকা ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। সুভাষ দও পরিচালিত ‘বিনিময়’ সিনেমাটি একই বছরে মহরত ও মুক্তি পায়। এটি ছাড়াও কবরীর সঙ্গে উজ্জ্বল আরো কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমাগুলো হলো- ‘লালন ফকির’, ‘বলাকা মন’ ও ‘অনুরোধ’।

মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ১৯৭২ সালে সিনেমার প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৭৪ সালে সিনেমায় নায়ক হিসেবে অভিষেক হয়। সোহেল রানা নাম নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম নায়িকা হিসেবে পেয়েছেন কবরীকে। সত্তরের দশকে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমায় ‘মনের রঙে রাঙাব, বনের ঘুম ভাঙাব’ গানটি তাদের ঠোঁটে বেশ জনপ্রিয় ছিল। এরপর তারা ‘প্রেম বন্ধন’ ও ‘গোপন কথা’ নামের দুটি সিনেমায় জুটি বাঁধেন। সত্তরের দশকের পর অবশ্য একসঙ্গে আর কোনো সিনেমায় কাজ করা হয়নি তাদের। চার দশক পর আবার তারা দুজন সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এটি কবরী অভিনীত ও পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমা। সিনেমাটি সম্প্রতি শুটিং শেষ করে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমার মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে নায়ক আলমগীরের সিনেমায় অভিষেক হয়। ক্যারিয়ারের প্রথম নায়িকা হিসেবে পেয়েছেন কবরীকে।

এন এইচ, ১৭ এপ্রিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *