পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ২০৭টি কেন্দ্রে এগিয়ে, বিজেপি ৮২টি কেন্দ্রে এবং বাম জোট মাত্র একটি কেন্দ্রে এগিয়ে। এখনো কয়েকটি রাউন্ডের গণনা বাকি। তবে প্রায় অর্ধেক রাউন্ডের গণনা হয়ে গেছে। নাটকীয় কোনো বদল না হলে তৃণমূল কংগ্রেস আবার সরকার গঠন করতে চলেছে। অবশ্য তৃণমূলের কাছে চিন্তার কথা একটাই। ষষ্ঠ রাউন্ডের গণনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে।
তবে নন্দীগ্রামে জয় নিয়ে মমতা এখনো যথেষ্ট আশাবাদী। তৃণমূল জানাচ্ছে, এখন নন্দিগ্রাম একের গণনা হচ্ছে। নন্দিগ্রাম দুইয়ের গণনা যখন হবে, তখন তিনি অনেকটাই এগিয়ে যাবেন।
এখনো পর্যন্ত যা প্রবণতা, তাতে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের প্রয়াস সম্ভবত সফল হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে পারছে না বিজেপি। তারা একশরও অনেক নিচে থাকছে। ফলে প্রশান্ত কিশোর বা পিকে যে দাবি করেছিলেন, তা মিলে যাওয়ার মুখে। দক্ষিণবঙ্গে প্রায় একচেটিয়াভাবে জিতছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গেও তাদের হতাশ করেছে। যেসব আসন তারা জিতবে ভেবেছিল, তা তারা পায়নি।
তৃণমূল প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ। কংগ্রেস আড়াই ও সিপিএম সাড়ে তিন শতাংশ ভোট পেয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ভিআইপি প্রার্থীদের মধ্য়ে এগিয়ে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম ও মলয় ঘটক, মানস ভুঁইঞা, বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের ছেল।
কলকাতা থেকে ডিডাব্লিউ’র প্রতিনিধি সমন্তক ঘোষ জানিয়েছেন, মোট ১০৮টি কেন্দ্রে গণনা হচ্ছে। সেখানে করোনাবিধি মানা হচ্ছে। করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে হচ্ছে। সেখানে একবার ঢুকলে আর বেরতে দেয়া হচ্ছে না।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
Source: kalerkantho