কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুটি ভেজাল আইসক্রিম ও একটি লাচ্চা সেমাই তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব কারখানায় বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই ভেজাল আইসক্রিম ও লাচ্চা সেমাই প্রস্তুত ও বাজারজাত করা হচ্ছিল।
অনুমোদন বিহীন আইসক্রিম ও সেমাই কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও কারখানা সিলগালা করে দেয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিএসটিআই এর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার (সিএম) দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাটেশ্বরী বাজার এলাকার মৃত ওসমান গনীর পূত্র সাহাদুজ্জামান মুক্তা আইসক্রিম, ভূরুঙ্গামারী বাজারে ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তির ভাই ভাই আইসক্রিম কারখানা ও জয়মনিরহাট ইউনিয়নের খাটামারী গ্রামের ঝুমুর আলীর পূত্র কাদের আলী নাম বিহীন লাচ্চা সেমাই উৎপাদন করে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে এ সকল ভেজাল পণ্য উৎপাদন করে নামিদামি ব্রান্ডের প্যাকেটে ঢুকিয়ে তা বাজার জাত করছে তারা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃতে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব কারখানায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে মুক্তা আইসক্রিমের ২৫ হাজার, ভাই ভাই আইসক্রিমের ২৫ হাজার এবং লাচ্ছা তৈরি কারখানার ৪৫ হাজার মোট ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। পরে আইসক্রিম ও লাচ্চা সেমাইয়ে ব্যবহৃত সামগ্রী ধ্বংস করা হয় এবং কারখানাগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম ভেজাল আইসক্রিম ও লাচ্চা সেমাই তৈরির কারখানার সন্ধান ও কারখানানার মালিকদের জরিমানা আদায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Source: kalerkantho