ঈদ-উল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাংলাবাজার-শিমুলীয়া নৌরুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ ভিড় আরো বাড়ছে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মোটরসাইকেল, ৩ চাক্কার থ্রি হুইলার, ইজিবাইকে চড়ে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। এদিকে নদীতে বাংলাবাজার ঘাটের ট্রলার ও স্পিডবোট বন্ধ রাখতে এর ইঞ্জিনের পাখা খুলে নেয় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ। আটক করেন কয়েকটি মাইক্রোবাস।
ঘাট সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ রুট হয়ে যাত্রী চাপ বাড়তে থাকে। স্পিডবোট, লঞ্চ, ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ফলে স্বাস্থ্যবিধি পালনের কোনো হদিসই ছিল না। গাদাগাদি করে চলতে হয় সবাইকে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, ওসি মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বাংলাবাজর ঘাটের স্পিডবোট ও ট্রলারগুলোর ইঞ্জিনের পাখা খুলে নেয়। কোনো অবস্থাতেই অবৈধ নৌযান চালানো যাবে না বলে জানান তারা।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে বাংলাবাজার ঘাট থেকে কোনো লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ছাড়তে পারবে না। ইতিমধ্যেই স্পিডবোট ও ট্রলারের পাখা খুলে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্পিডবোটে নির্ধারিত আসন তৈরি করে যাত্রী পারাপার করতে হবে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Source: kalerkantho