গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, ৯ ফিলিস্তিনি নিহত |

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামাস পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়। 

সোমবার জেরুজালেমের স্থানীয়রা সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান বলে জানালেও, কিসের বিস্ফোরণ তা নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে।

অন্যদিকে, পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে সোমবার ভোরে আবারও ইসরায়েলি বাহিনী ঢুকে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও বোমা ছুড়েছে। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়।

এদিকে, সোমবার জেরুজালেমে মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে ইহুদি জাতীয়তাবাদীরা। ফলে এই মিছিল ঘিরে আরো সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন নিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। জেরুজালেম থেকে নতুন করে ফিলিস্তিনিদের তাড়ানো হবে বলে আশঙ্কা ছড়ানোর পর এই উত্তেজনা শুরু হয়।

পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অর্থাৎ জুমাতুল বিদা উপলক্ষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে জড়ো হলে তাদের ওপর অভিযান চালায় ইসরায়েলি পুলিশ। পরদিন পবিত্র শবে কদরের রাতেও তাদের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়। এতে প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকা থেকে ৭০টির বেশি ফিলিস্তিনি পরিবার উচ্ছেদের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তা নিয়েই সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা শুরু হয়।

ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের একটি সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন ইসরায়েলি আদালত। এর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে আপিল শুনানিকে সামনে রেখে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে গত রবিবার ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন তারিখ দেওয়া হবে।

সোমবার বার্ষিক জেরুজালেম দিবস উপলক্ষে পতাকা মিছিলের আয়োজন করেছে ইহুদি জাতীয়তাবাদীরা। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখলের স্মরণে এই দিবস পালন করা হয়। এই দিনে সাধারণত তরুণ জায়নবাদী ইহুদিরা মুসলিম এলাকাগুলোতে মিছিল নিয়ে প্রদক্ষিণ করে। একে উসকানি হিসেবে দেখে থাকে ফিলিস্তিনিরা।


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *