মাস্ক না পরলেই গ্রাম পাহারা দেওয়ার শাস্তি!

জয়পুর, ১০ মে– মাস্ক ঠিকমতো না পরলেই শাস্তিস্বরূপ তাকে গ্রামের চেকপোস্টে ডিউটি দিতে হবে। এমনই নির্দেশনা জারি করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। এর ফলও অবশ্য হাতেনাতেই পাওয়া গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই সবাই মাস্ক ঠিকমতো পরা শুরু করে দেন। এখন আর নতুন করে করোনা আক্রান্তের কোনো খবর নেই সেই গ্রামে। গ্রাম পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ঘটনা উত্তরপ্রদেশ ঘেঁষা রাজস্থানের ঢোলপুরের কাছে একটি ছোট্ট গ্রামের। এই গ্রামেরই পঞ্চায়েত প্রধান অজয় পাল শর্মা বলেন, ‘‌গ্রামের মানুষের মধ্যে একটা ধারণা কাজ করত যে, করোনা রোগটা বড় শহরেই হয়। গ্রামে হয় না। সেজন্য মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে সচেতনতার অভাব ছিল। সেকারণে আমরা গ্রামের ঢোকার মুখে চেকপোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু এরপরেও সংক্রমণ বাড়তে থাকে।’‌ এরপরও গ্রামের ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরে গ্রামের লোকেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। স্থির করা হয়, যারা ঠিকভাবে মাস্ক পরবেন না, তাহলে তাদের চেকপোস্টে দুদিন ডিউটি দিতে হবে। এরপরই অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বদলাতে শুরু করে।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের মতে, গত সপ্তাহে ২৮ জনকে চেকপোস্টে ডিউটি করতে হয়েছে। পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্যানিটাইজেশনের গুরুত্ব নিয়েও প্রচার করতে হয়। পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগের পরেই গ্রামের মানুষের মধ্যে ঠিকভাবে মাস্ক পরা শুরু হয়ে যায়। এখন আর গ্রামে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্তের খবর নেই। যে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তারাও সুস্থ হয়ে গেছেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ টিকা নিয়েছেন। গ্রামের ভেতরে স্যানিটাইজেশনের কাজও ঠিকভাবে চলছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পঞ্চায়েত স্তরে এই ধরনের কাজ আরও চলবে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এম এন / ১০ মে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *