হীরা তৈরি হচ্ছে ল্যাবে |

আঠারো শতকের শুরুতে সোনার চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম বেশি দামি ছিল। সে কারণে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের শীর্ষভাগ অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। তবে অ্যালুমিনিয়াম কিন্তু বিরল ছিল না, সেই সময় এটি বানানো কঠিন ছিল বলে দামি ছিল। এখন বাজারে হীরা খুবই মূল্যবান। তবে বতর্মান সময়ে ল্যাবরেটরিতেই হীরা তৈরি সম্ভব হচ্ছে বলে কয়েক দশকের মধ্যে এর দামও নাগালের মধ্যে চলে আসতে পারে। ভূপৃষ্ঠ থেকে দেড় শ কিলোমিটারেরও বেশি গভীরে হীরা পাওয়া যায়, যেখানে তাপমাত্রা ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে। হীরা খাতের বিশ্লেষক পাউল জিমনিসকি বলেছেন, বিজ্ঞানীরা ল্যাবে হীরা তৈরি করতে পারেন। গত শতকের পঞ্চাশ-ষাটের দশক থেকে হীরা তৈরির প্রযুক্তি বিদ্যমান। তবে অনেক দিন ধরে শুধু শিল্প খাতে ব্যবহারের জন্য ছোট দানার মতো হীরা তৈরি করা যেত। চার-পাঁচ বছর আগে হীরা তৈরির প্রযুক্তিতে উন্নতি আসে। ফলে এখন জেম কোয়ালিটির হীরা তৈরি সম্ভব হচ্ছে। এর মান এত ভালো যে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

হীরা ব্যবসায়ী এএলটিআর ইনকরপোরেশনের প্রেসিডেন্ট আমিশ শাহ বলেছেন, ল্যাবে তৈরি হীরা খনির হীরার মতোই হয়ে থাকে। এই হীরার গুণ এত ভালো আর এত দ্রুত তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে যে ভবিষ্যতে হয়তো আঙুলের চেয়ে হাতেই হীরা বেশি থাকবে।

আমিশ শাহ আরো বলেছেন, বর্তমানে হীরাকে আর বিরল পদার্থ মনে করা হয় না। তবে হীরার যে বিশেষ গুণ আছে, সেটা বিরল। হীরা শুধু কার্বন দিয়ে তৈরি, তবে এর পরমাণুগুলো একটি ক্রিস্টাল স্ট্রাকচারে শক্তভাবে লেগে থাকে। সে কারণে এটি পৃথিবীর অন্যতম শক্ত ও বিদ্যুৎ পরিবাহী এবং প্রকৌশলীদের কাছে বিস্ময়কর এক উপাদান। সূত্র : ডয়চে ভেলে।


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *