মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ, কেনাবেচা করলে ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল |

কঠোর লকডাউন বা বিধিনিষেধের মধ্যেও ঈদের ছুটি কাটাতে ঢাকা থেকে প্রায় এক কোটি মানুষ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের বাড়িতে যায়। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে আসেন। এতে ঢাকা থেকে সারা দেশে মানুষ ছড়িয়ে পড়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। 

এ অবস্থায় সংক্রমণ রোধে লকডাউন বা কঠোর বিধি নিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ঈদের ছুটি কাটাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিশুসহ কয়েক হাজার নারী-পুরুষ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আসেন। এরই মধ্যে অনেকেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। তাই করোনা সংক্রমণ রোধে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরশহরে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (১৬ মে) বিকালে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলের সভাপতিত্বে এক জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপজেলা ও থানা প্রশাসন, ভাঙ্গুড়া বাজার শিল্প ও বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষে করোনা সংক্রমণ রোধে ভাঙ্গুড়া পৌর শহরে চারটি নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ভাঙ্গুড়া পৌর শহরে প্রবেশের আটটি প্রধান সড়কে বাঁশের গেট বসানো হয়েছে। সেসব স্থানে হাত ধোয়ার জন্য সাবান পানির ব্যবস্থা থাকবে। শহরে প্রবেশের সময় সবাইকে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। মাস্ক পরিধান ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে পৌর শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বাজারের সকল বিপণিবিতানে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে মাস্ক পরিধান করাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে হবে। নির্দেশনা অমান্য করলে অভিযুক্ত দোকান মালিককে প্রথম বার এক দিনের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় দিনে অনুরূপ ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করে দিবে পৌর কর্তৃপক্ষ। 

করোনা সংক্রমণ রোধে ১৭ মে থেকে আগামী ২০ দিন কঠোরভাবে এই নির্দেশনা পালন করা হবে। পৌরসভার কর্মচারী, ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবেন।

বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল শুরু থেকেই পৌর শহর সহ সারা উপজেলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালাতেন। মেয়রের এমন উদ্যোগে রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন।

পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, ঈদ উপলক্ষে সারা দেশে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলাফেরা করেছে। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ভাঙ্গুড়ার মানুষকে নিরাপদে রাখতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসন, ব্যবসায়িক সমিতি ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *