উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা স্বীকার করলেন দেশটির সর্বচ্চ নেতা কিম জং-উন। তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। গত বুধবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির শাখা সচিবদের বৈঠকে নিজের মুখে একথা স্বীকার করে নিয়েছেন কিম। তিনি বলেছেন, দেশ এখন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’
দশ বছর ধরে একচ্ছত্র ভাবে দেশ শাসন করছেন তিনি। তবে সম্ভবত এ প্রথমবার দলীয় কর্মীদের সামনে স্বীকার করে নিলেন যে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের আর পাঁচটা দেশের মতো উত্তর কোরিয়াতেও লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিলেন শাসক কিম জং উন। কিন্তু তার ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সাধারণ মানুষ চরম আর্থিক সংকটের মুখে।
কীভাবে এ অবস্থা থেকে উত্তর কোরিয়াকে টেনে তোলা যায়, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনাও করেছেন তিনি। তাদের নিজস্ব পরমাণু কর্মসূচির জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপরে এমনিতেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞার বোঝা চাপিয়ে রাখে আমেরিকা। সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে সেই বোঝা আরো কয়েকগুণ বেড়েছে। নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে গত জানুয়ারিতে একটি পার্টি কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়েছিল।
সেই সময়ে তার বলা পরিকল্পনা দলের অনেক কর্মীই মানছেন না বলে গতকাল তাদের তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন কিম। গত বুধবারের বৈঠকে দলের তৃণমূল স্তরের প্রচুর কর্মী হাজির ছিলেন। ৫ থেকে ৩০ জনের এক একটি দলে ভাগ করা হয় এ শাখা সচিবদের। মূলত কারখানাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এ ২ শাখা সচিবেরা। ২০১৭ সালের পরে এ শাখা সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রেসিডেন্ট কিম।
সূত্র: বিবিসি।
Source: kalerkantho