ডিআরএসে আম্পায়ার্স কল। ছবি- টুইটার।
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির আপত্তি সত্ত্বেও বিতর্কিত ‘আম্পায়ার্স কল’ রেখে দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করা হয়েছে, যার ফলে বিতর্কের ঝড় শান্ত হলেও হতে পারে। ডিআরএস অর্থাৎ ‘ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম’-এর অঙ্গ হিসেবে থাকছে এই নিয়ম। কয়েক দিন আগে যাকে বিভ্রান্তিমূলক আখ্যা দিয়েছিলেন কোহালি।
শুরু থেকেই ডিআরএসের আম্পায়ার্স কলের বিরোধিতা করতে দেখা যায় বর্তমান ও সাবেক অনেক ক্রিকেটারকেই। এই দলে ছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর দাবি ছিল যে, আম্পায়ার্স কল ক্রিকেটারদের মনে সংশয় সৃষ্টি করে। তাই আইসিসির উচিত নিয়ম একটু সরল করা। স্টাম্পে বল লাগলে ব্যাটসম্যানকে আউট ঘোষণা করাই উচিত। বলের কতটা অংশ স্টাম্পে লাগল তা বিবেচনা অমূলক।
আসলে এলবিডব্লির ক্ষেত্রে বল স্টাম্পে লাগছে, অথচ আম্পায়ার আউট দিলে আউট, না দিলে নয়, এই বিষয়টাই অনেকে মেনে নিতে পারেননি।
আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ক্রিকেটে ভুল সিদ্ধান্ত না হওয়ার জন্যই ডিআরএস প্রক্রিয়া আনা হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারের ক্ষমতা যাতে খর্ব না হয়, সেই ব্যাপারটাও আমরা মাথায় রেখেছি। সেই কারণেই আম্পায়ার্স কল রেখে দেওয়া হল।”
ক্রিকেট কমিটির বৈঠকের পর আইসিসির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রিভিউয়ের ক্ষেত্রে আম্পায়ার্স কল যথারীতি বজায় রাখা হচ্ছে। যদিও এলবিডব্লির রিভিউয়ের ক্ষেত্রে স্টাম্পের উচ্চতার সীমা তুলে দেওয়া হয়। এলবিডব্লির ক্ষেত্রে বল যদি বেলের ঠিক উপরে লাগে, তা হলেও আউট ঘোষণা করা হবে ব্যাটসম্যানকে।
কী এই ‘আম্পায়ার্স কল’?
এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয় এলবিডব্লিউ আবেদনের ক্ষেত্রে। ধরা যাক কোনো ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউ আবেদনে মাঠের আম্পায়ার ‘নট আউট’ রায় দিলেন। ফিল্ডিং দল ডিআরএস নিল। এ বার বলের গতিপথ বিচার করার প্রক্রিয়ায় (বল ট্র্যাকিং) যদি দেখা যায়, বলের অর্ধেকটা অফস্টাম্প বা লেগস্টাম্পের বাইরে পড়ছে, তা হলে টিভি আম্পায়ারকে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখতে হবে। অন্য ভাবে বললে, বলের অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ স্টাম্পে আঘাত করতে হবে। তবেই টিভি আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে পাল্টাতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বল হয়তো শুধু বেল ছুঁয়ে গেল। এ সব ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ‘নট আউট’ হলে ডিআরএস নিয়েও লাভ হবে না।
নিয়মে কিছু রদবদল
তবে কোহলির দাবি মেনে ‘আম্পায়ার্স কল’ তুলে দেওয়া না হলেও নিয়মে কিছু রদবদলের কথা জানিয়েছে আইসিসি। এখনথেকে এলবিডব্লিউ রিভিউয়ের ক্ষেত্রে বেলের উপরিভাগ পর্যন্ত উইকেটের উচ্চতাকে ধরা হবে। যাকে বলা হয় ‘উইকেট জোন’। আগে ‘উইকেট জোন’ ছিল বেলের নিম্নভাগ পর্যন্ত। এর ফলে বেল ছুঁয়ে গেলে মাঠের আম্পায়ারের ‘নট আউট’ সিদ্ধান্ত বহাল থাকত। এই পরিবর্তনের ফলে একটা সম্ভাবনা থাকছে যে, বেল স্পর্শ করে যাওয়া বলের ক্ষেত্রেও ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ আউট হতে পারেন।
শুরু থেকেই ডিআরএসের আম্পায়ার্স কলের বিরোধিতা করতে দেখা যায় বর্তমান ও সাবেক অনেক ক্রিকেটারকেই। এই দলে ছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর দাবি ছিল যে, আম্পায়ার্স কল ক্রিকেটারদের মনে সংশয় সৃষ্টি করে। তাই আইসিসির উচিত নিয়ম একটু সরল করা। স্টাম্পে বল লাগলে ব্যাটসম্যানকে আউট ঘোষণা করাই উচিত। বলের কতটা অংশ স্টাম্পে লাগল তা বিবেচনা অমূলক।
আসলে এলবিডব্লির ক্ষেত্রে বল স্টাম্পে লাগছে, অথচ আম্পায়ার আউট দিলে আউট, না দিলে নয়, এই বিষয়টাই অনেকে মেনে নিতে পারেননি।
আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ক্রিকেটে ভুল সিদ্ধান্ত না হওয়ার জন্যই ডিআরএস প্রক্রিয়া আনা হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারের ক্ষমতা যাতে খর্ব না হয়, সেই ব্যাপারটাও আমরা মাথায় রেখেছি। সেই কারণেই আম্পায়ার্স কল রেখে দেওয়া হল।”
ক্রিকেট কমিটির বৈঠকের পর আইসিসির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রিভিউয়ের ক্ষেত্রে আম্পায়ার্স কল যথারীতি বজায় রাখা হচ্ছে। যদিও এলবিডব্লির রিভিউয়ের ক্ষেত্রে স্টাম্পের উচ্চতার সীমা তুলে দেওয়া হয়। এলবিডব্লির ক্ষেত্রে বল যদি বেলের ঠিক উপরে লাগে, তা হলেও আউট ঘোষণা করা হবে ব্যাটসম্যানকে।
কী এই ‘আম্পায়ার্স কল’?
এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয় এলবিডব্লিউ আবেদনের ক্ষেত্রে। ধরা যাক কোনো ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউ আবেদনে মাঠের আম্পায়ার ‘নট আউট’ রায় দিলেন। ফিল্ডিং দল ডিআরএস নিল। এ বার বলের গতিপথ বিচার করার প্রক্রিয়ায় (বল ট্র্যাকিং) যদি দেখা যায়, বলের অর্ধেকটা অফস্টাম্প বা লেগস্টাম্পের বাইরে পড়ছে, তা হলে টিভি আম্পায়ারকে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখতে হবে। অন্য ভাবে বললে, বলের অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ স্টাম্পে আঘাত করতে হবে। তবেই টিভি আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে পাল্টাতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বল হয়তো শুধু বেল ছুঁয়ে গেল। এ সব ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ‘নট আউট’ হলে ডিআরএস নিয়েও লাভ হবে না।
নিয়মে কিছু রদবদল
তবে কোহলির দাবি মেনে ‘আম্পায়ার্স কল’ তুলে দেওয়া না হলেও নিয়মে কিছু রদবদলের কথা জানিয়েছে আইসিসি। এখনথেকে এলবিডব্লিউ রিভিউয়ের ক্ষেত্রে বেলের উপরিভাগ পর্যন্ত উইকেটের উচ্চতাকে ধরা হবে। যাকে বলা হয় ‘উইকেট জোন’। আগে ‘উইকেট জোন’ ছিল বেলের নিম্নভাগ পর্যন্ত। এর ফলে বেল ছুঁয়ে গেলে মাঠের আম্পায়ারের ‘নট আউট’ সিদ্ধান্ত বহাল থাকত। এই পরিবর্তনের ফলে একটা সম্ভাবনা থাকছে যে, বেল স্পর্শ করে যাওয়া বলের ক্ষেত্রেও ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ আউট হতে পারেন।
Source: Kalerkantho.com