চাঁদে মানুষ নামানোর লক্ষে নাসার জন্য চন্দ্রযান প্রস্তুত করছে স্পেসএক্স

আগামী চন্দ্রাভিযানের সময় যে নভোযানটি মানুষ নিয়ে চাঁদের বুকে নামবে- তা নির্মাণ করার দায়িত্ব স্পেসএক্স-কে দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। স্পেসএক্স হচ্ছে ধনকুবের ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের রকেট নির্মাতা কোম্পানি।

জানা গেছে, এ দশকের শেষ দিকে আর্টেমিস নামে এক অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদে মানুষ পাঠাবে নাসা। এতে নভোচারীদের মধ্যে একজন নারীও থাকবেন যিনি হবেন চাঁদের বুকে অবতরণকারী প্রথম নারী।

ওই অভিযানের আরো একটি লক্ষ্য হচ্ছে চাঁদে অবতরণকারীদের মধ্যে একজন অশ্বেতাঙ্গ নভোচারী রাখা।

আরও পড়ুন : হোয়াটসঅ্যাপের যে ফিচারে পরিবর্তন আসছে

স্পেসএক্স যে চন্দ্রযানটি তৈরি করবে তা তাদের ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযানের ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে। এই স্টারশিপ এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

নাসার সাথে স্পেসএক্সের এই চুক্তির মোট মূল্য হচ্ছে ২৮৯ কোটি ডলার। স্পেসএক্সকে নাসার এই কাজ পাবার জন্য বেশ কয়েকটি কোম্পানির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে হয়েছে।

তার মধ্যে ছিল আমাজনের মালিক জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন, লকহীড মার্টিন, নরথ্রপ গ্রুম্যান এ্যান্ড ড্রেপার, এবং ডাইনেটিক্স।

নাসার জন্য যে চন্দ্রযানটি স্পেসএক্স তৈরি করবে তা মূলত চাঁদের কক্ষপথে থাকা মূল মহাকাশযান থেকে নভোচারীদের চাঁদের মাটিতে নামানো এবং সেখান থেকে আবার মূল যানে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার কাজটি করবে।

এতে থাকবে একটি কেবিন আর দুটি ‘এয়ার লক’, যার মাধ্যমে নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে হাঁটাচলার জন্য বেরুতে পারবেন। এর নাম হবে এইচএলএস বা হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম।

১৯৬০ ও ৭০ দশকে যেসব ‘লুনার মডিউল’ দিয়ে নভোচারীরা চাঁদের বুকে নেমেছিলেন তার চাইতে এই এইচএলএস হবে অনেক উন্নত মানের।

লুনার মডিউল ছিল আকারে অনেক ছোট। তাতে দুজন নভোচারীকে ঠাসাঠাসি করে বসতে হতো। এভাবেই ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত মোট ১২ জন নভোচারী চাঁদে নেমেছিলেন।

সূত্র : বিবিসি
অভি/ ১৭ এপ্রিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *