দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষাতেও খালেদা জিয়া করোনা পজেটিভ

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল – বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফায় করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

রোববার রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তার চিকিৎসক টিমের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।

এফ এম সিদ্দিকী বলেন, আজকে উনার (খালেদা জিয়া) করোনা টেস্ট করেছি। লো টাইটারে পজিটিভি এসেছে। তবে আমরা আশা করছি, আগামী ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে উনার করোনা নেগেটিভ হয়ে যাবে।

‘এই বাসায় যারা ছিলো, আমরা সবারই পরীক্ষা করেছি। সব মিলে ১৪ জন। আর ১৪ জনের মধ্যে ম্যাডামসহ ৪ জন পজিটিভ আছেন। বাকিরা নেগেটিভ। তবে সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।’

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট এটা কততম ছিলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা দ্বিতীয় টেস্ট ছিলো। আর ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে আমার আবার টেস্ট করাবো।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. সিদ্দিকী বলেন, আজকে শারীরিক অবস্থা দেখেছি, তিনি ভালো আছেন।

এফ এম সিদ্দিকী বলেন, আজকে নতুন করে রিপোর্ট করা হয়েছে। সবগুলো রিপোর্ট দেখেছি। উনার বডির ফিজিক্যাল কন্ডিশন দেখেছি। ফিজিক্যালি ম্যাডাম আগের চেয়ে বেশ ভালোই আছেন। আর উনার অবস্থা স্থিতিশীল।

তিনি বলেন, আপনারাও জানেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার আজ ১৮ দিন চলছে। দ্বিতীয় সপ্তাহে যে করোনার জটিলতা, তা উনার হয়নি। আর করোনা সংক্রান্ত যেগুলো বিপদ হওয়ার কথা ছিলো, তা থেকেও ম্যাডাম এখন আশঙ্কামুক্ত।

ডা. সিদ্দিকী জানান, করোনা সংক্রান্ত যেগুলো টেস্ট আমরা করেছি, এর বাইরে উনার অন্য কিছু টেস্ট করানো দরকার। সেটা আমরা আশা করছি যে, আগামী কয়েক দিনে আমরা সেগুলো পরীক্ষা করবো।

এসময় ডা. সিদ্দিকীর সঙ্গে ছিলেন ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ডা. শাকুর খান ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।

নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজা’য় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক একটি টিম চিকিৎসা শুরু করেছে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ছাড়াও গুলশানে ‘ফিরোজা’র বাসায় তার গৃহকর্মীসহ আরো ৮ জন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন বাড়ি চলে গেছেন এবং বাকীরা ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত ৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ডিত। দন্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়, শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এ/ ২৫ এপ্রিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *