কোম্পানীগঞ্জে আ. লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, বাস ভাঙচুর |

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। কাদের মির্জার অনুসারীরা ড্রিম লাইন পরিবহনের পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৭ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ি এলাকায় এবং সন্ধ্যায় বসুরহাট বাসস্ট্যান্ডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে  সাইফুল ইসলাম সাহেদ (৫০), নামে একজনকে আটক করেছে। সে পৌরসভা ৬নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির মৃত নুরনবী চৌধুরী চৌধুরীর ছেলে। সন্ধায় এ ঘটনার জের ধরে বাস ভাঙচুর করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরী, কেচ্ছা রাসেলসহ ১৫-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল উপজেলা আওয়ামী লীগ অনুসারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরীর ওপর  হামলা চালায়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ অনুসারী কামরান পাশা মঞ্জিল চৌধুরী (২৪), নামের এক তরুণ আহত হয়। আহত তরুণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের ভাতিজা। প্রতিপক্ষের হামলায় তার একটি দাঁত পড়ে যায়।

এ ঘটনার জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসুরহাট নতুন বাসস্ট্যান্ডে আক্রাম উদ্দিন সবুজ পারিচালিত ড্রীম লাইন পরিবহনের ৫টি বাস ভাঙচুর করে।

উল্লেখ্য, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা রুমেল চৌধুরী এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরী (সম্পর্কে চাচাতো জেঠাতো ভাই)।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি  জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে  ড্রীম লাইন পরিবহনের  বাস ভাঙচুর হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। যে কোন কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।


Source: kalerkantho

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *