নড়াইল, ১১ মে– শিশু নির্যাতনকারী নড়াইলের নড়াগাতী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঐসোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও শাহ মো. ফোরকান মোল্যার নামে মামলা হয়েছে।
এই মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে নির্যাতিত শিশুটির বাবা কাইয়ুম চৌধুরী বাদী হয়ে নড়াগাতী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নড়াগাতী থানার ওসি রোকসানা খাতুন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে নির্যাতিত শিশুটির বাবা মো. কাইয়ুম চৌধুরী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপন করেছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, নড়াগাতি থানার বাঐসোনা ইউনিয়নের মধুপুর এলাকায় সুপারি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১২ বছরের ওই শিশুটিকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান ফোরকান মোল্যা শিশুটিকে ব্যাপক মারধরসহ লাথি মারছেন। এ ছাড়া গালিগালাজ করেন। এ সময় অপর ব্যক্তিও ওই শিশুটিকে মারধর করেন।
নির্যাতনের ভিডিও গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মো. ফোরকান মোল্যা বলেন, ‘সুপারি চুরির ঘটনায় ওই কিশোরকে ধরে আমাকে খবর দেওয়া হয়েছিল। তাকে ২/৩টা চর থাপ্পড় দিয়ে তার গার্জিয়ানকে দিয়ে দিয়েছিলাম। ঘটনাটি ৬ মাস আগের। কে বা কারা ভিডিওটি ফেসবুকে আমার নামে ফেক আইডি খুলে ছড়িয়ে দিয়েছে।’
সূত্র : দেশ রূপান্তর
এম এন / ১১ মে