ঈদুল ফিতরের ছুটি বুধবার (১২ মে) থেকে শুরু হচ্ছে । নিয়মানুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে তিন দিন আর ৩০ দিনে শেষ হলে ঈদের ছুটি থাকে চার দিন। এবারের ঈদের একদিন ছুটি পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে। রোজা ৩০টি হলে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির দিনও ঈদের ছুটি থাকবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বিধি-নিষেধ জারি করেছে সরকার। গত ৫ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।
এর আগে ঈদের ছুটিতে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও শিল্প-কারখানার কর্মীদের কর্মস্থলেই থাকতে হবে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ছুটি তিন দিনই থাকবে এবার। আমাদের প্ল্যান ছিল একদিন ছুটি দেওয়ার। ঈদের ছুটির দুই দিন শুক্র ও শনিবারই মনে হচ্ছে যাবে। যাতে কেউ কোথাও যেতে না পারে, ঢাকা না ছাড়তে পারে। কারণ ঢাকা হচ্ছে করোনার উচ্চসংক্রমণশীল এলাকা। ৮০ শতাংশ সংক্রমণই হয় ঢাকায়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে বা ঢাকার আশেপাশে থেকে শ্রমিকরা যদি ঈদের সময় অন্য জায়গায় চলে যায় তবে ম্যাসাকার হবে। সে জন্য আমরা চাচ্ছি সবাই কর্মস্থলেই থাকুক। সরকারি-বেসরকারি সবক্ষেত্রে নির্দেশনা দেওয়া আছে, ছুটি তিন দিনই থাকবে, কেউ এর বাইরে ছুটি দিতে পারবে না।
ফরহাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী এখনও চলাচলে কড়াকাড়ি আরোপ করার বিষয় আছে। আমরা বলছি, ঈদের সময় যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। লোকজন মুভ করলে এটা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। ভারতের বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।
Source: kalerkantho